ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দু’ পক্ষের দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষে শিশু-নারীসহ আহত-১৬, চরম উত্তেজনা এলাকায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী দু গ্রুপের মধ্যে’দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। চকরিয়া পৌরসদরের ১নং ওয়ার্ডের ঘনশ্যামবাজার পাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে সরকারী হাসপাতাল এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১০জনসহ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীসহ অন্তত ১৬জন গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আজ রবিবার (১৫এপ্রিল) দুপুর আড়াটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ঘনশ্যাম বাজার পাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সরকারী হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা একজনের মোটর সাইকেল জব্ধ করে থানায় নিয়ে গেছে। ওই মোটর সাইকেলটি সাবেক এক কমিশনারের লোকজন ভাংচুর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ঘনশ্যাম বাজার পাড়াস্থ আহমদ কবিরের পুত্র পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার নুরুল হোসেন প্রকাশ ভাংগারী হোসন ও একই এলাকার মৃত হাকুম আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ দুদু মেম্বারের মধ্যে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তুচ্ছ ঘটনার বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুর হোসেনের লোকজন কসাইপাড়া এলাকায় দুদু মেম্বারের লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে দুদু মেম্বারের লোকজনকে মারধর করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে সাবেক কমিশনার নুর হোসেনের লোকজনের উপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫/১৬ জনের মতো কমবেশী আহত হয়েছে। এ সময় দুপক্ষের আহত হয়েছে সাবেক কমিশনার নুরুল হোসেনসহ ১৫/১৬ জন ।
এসময় দু পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রথমে ঘনশ্যম বাজার এলাকায় ও পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায়। এতে কমিশনার নুরুল হোসেনসহ উভয় পক্ষের ১২/১৩ জন গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে এসে ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রোগী দেখতে আসা ব্যক্তির একটি মোটর সাইকেল জব্ধ করেছে। ঘটনার হামলার শিকার ও আহত ব্যাক্তিরা হলেন, নাছির উদ্দিন, আবদুল করিম, রিয়াদ, নুরুল আজিম, সোয়ান নুর, সাইদুর নুর, শিমু আকতার (১৩), আয়েশা বেগম(৫৫), জনুয়ারা বেগম(৪৫), নুরুল কবির (৪৮), নুর নবী(২০), নুরুল কাদের (৪০) ও মুবিনুল হক (২০)। ঘটনায় দু’পক্ষের আহত লোকজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ঘণ্টা ধরে ব্যাপি পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মো.ইয়াছির আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: